ওয়েব ডেস্ক : অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে সক্ষম ‘নাগ এমকে ২’ (Nag MK 2)। এবার সেই ক্ষেপণাস্ত্রকে ছোড়া হল হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক (Tank) থেকে। যা অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া এই ক্ষেপনাস্ত্র পাঁচ কিলোমিটার দুরে থাকা লক্ষ্যকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ট্যাঙ্ক (Tank) যতই অত্যাধুনিক হোক না কেন, তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম ‘নাগ’ (Nag) ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে আগামীদিনে কোনও মিশনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ‘নাগ মার্ক ২’ (Nag MK 2)। এই ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম। আর যে হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে সেটির নীল নকসা তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO)। আর এই ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করেছে লার্সন অ্যান্ড টুব্রো।
আরও খবর : দীপাবলির আগেই ধোঁয়াশায় দিল্লি, AQI ২৬০ ছাড়িয়ে গেছে
‘নাগ’ (Nag) ক্ষেপনাস্ত্র নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত আনতে সক্ষম। বর্তমান সময়ের যে কোনও অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ককেও ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো যেকোনও জায়গায় এটি মোতায়েন করা যেতে পারে। এটি সহজে বহনও করা যাবে। আর এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার জন্য সেনা ও ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এটিকে গর্বের মুহুর্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
অপারেশন সিঁদুরের সময় এস-৪০০ বা সুদর্শন চক্র পাকিস্তানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করেছিল। পাশাপাশি, ভারতের বিভিন্ন অস্ত্র পাকিস্তানকে একপ্রকার কাঁদিয়ে ছেড়েছিল। এসবের পরেই ‘নাগ এমকে ২’-এর সফল পরীক্ষা শত্রুদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেখুন অন্য খবর :